কুরআন আরবি শব্দ। এর অর্থ পড়া, তিলাওয়াত করা, আবৃত্তি করা। সারা বিশ্বের মুসলমানগণ এ গ্রন্থ তিলাওয়াত করে থাকে। আমরা সালাতে কুরআন তিলাওয়াত করে থাকি। অধিক পরিমাণে তিলাওয়াত হয় বিধায় কুরআনকে কুরআন বলা হয়।
পরিভাষায় আল কুরআন হলো আল্লাহ তা'আলার শ্বাশ্বত বাণী। এটি জিবরাইল (আ.)- এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবি ও রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর অবর্তীর্ণ হয়। এটি গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ, লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত। আল্লাহ তা'আলা কুরআন নাযিল করেছেন মানবজাতির হেদায়াতের জন্য আলোকবর্তিকাস্বরূপ। এটি জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎস এবং পুণ্যার্জনের অন্যতম উপায়। এটি রাসুলুল্লাহ (সা.) এর নবুওয়াত ও রিসালাতের সত্যায়নকারী ও সুস্পষ্ট দলিল। আসমান ও জমিনে এর চেয়ে শুদ্ধতম আর কোনো গ্রন্থ নেই। কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ এ গ্রন্থে কখনও হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা এর সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে কিয়ামত পর্যন্ত এটি অবিকৃত থাকবে। যুগে যুগে আল কুরআনের এ মু'জিয়া বহুবার প্রমাণিত হয়েছে। আল্লাহ তা'আলার বাণী:
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَفِظُونَ
অর্থ: 'আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং অবশ্য আমিই এর সংরক্ষক।' (সুরা আল হিজর, আয়াত: ০৯) আল কুরআন মর্যাদাপূর্ণ, সম্মানিত ও বিজ্ঞানময় গ্রন্থ। এটি হক বাতিলের পার্থক্যকারী। এতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। এটি মুত্তাকিদের জন্য হেদায়াতগ্রন্থ।
আমাদেরকে কুরআন পড়তে হবে, বুঝতে হবে, মানতে হবে। কারণ কুরআন হচ্ছে আমাদের জীবনবিধান। এটি আমাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথের সন্ধান দেয়। মিথ্যা থেকে সত্যকে, অন্যায় থেকে ন্যায়কে পার্থক্য করতে শিখায়। মহান আল্লাহ আমাদের জন্য আল কুরআনকে সহজ করে দিয়েছেন। সকল ভাষাভাষী লোক কুরআন মাজিদ পড়তে ও মুখস্থ করতে পারে। ফলে প্রতি বছর অসংখ্য হাফিজে কুরআন তৈরি হচ্ছে।
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন নাম
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আলোকে এর একাধিক নাম রয়েছে। এগুলো আল কুরআনের উচ্চ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব বহন করে। আল-কুরআনের কয়েকটি প্রসিভ নাম হলো:
১। আল ফুরকান (পার্থক্যকারী): আল কুরআন সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। পবিত্র কুরআনে মিথ্যা থেকে সত্যকে চেনার মানদণ্ড বিবৃত হয়েছে। তাই একে আল ফুরকান বলা হয়।
২। জাল কিতাব (লিখিত): আল কিতাব নামে নামকরণের কারণ হলো, এটা একটি লিখিত গ্রন্থ এবং
এটাকে বিশুদ্ধভাবে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
৩। আয যিকর (উপদেশ, আলোচনা): কুরআন মাজিদকে যিকর নামে নামকরণ করার কারণ এতে আল্লাহ তা'আলা বান্দার জীবন যাপনের বিভিন্ন আদেশ-উপদেশ ও নিষেধসমূহ আলোচনা করেছেন এবং বান্দার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
৪। আত তানযিল (নাফিলকৃত): এই কুরআন আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত তাই এর নাম তানযিল রাখা হয়েছে।
৫। আল বুরহান: বুরহান শব্দের অর্থ সুস্পষ্ট। এ গ্রন্থ কাফিরদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট দলিল।
৬। আন নূর: আন নূর অর্থ জ্যোতি, আলো। পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতকারীর জন্য আলো হবে।
৭। আশ শিকা: কুরআন মাজিদ অসুস্থ রোগীদের জন্য শিফা বা আরোগ্য স্বরূপ।
৮। আল হুদা: আল হুদা অর্থ পথপ্রদর্শন। কুরআন মাজিদ মুত্তাকিদের জন্য পথপ্রদর্শক।
৯। আল মাওয়েজা: যারা উপদেশ গ্রহণ করতে চায়, তাদের জন্য এটি এটি উপদেশগ্রন্থ।
১০। আর রহমাহ: আর রহমাহ অর্থ দয়া, করুণা। কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরুপ।
১১। আল আজিজ: আল আজিজ অর্থ পরাক্রমশালী। মহাগ্রন্থ আল কুরআন পরাক্রমশালীগ্রন্থ।
১২। আল মুবিন: মুবিন অর্থ সুস্পষ্ট। কুরআন মাজিদে মানবজীবনের সকল দিক সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৩। আল বাশির: বাশির অর্থ সুসংবাদ প্রদানকারী। কুরআন মাজিদ মুমিনদের জন্য সুসংবাদ প্রদানকারী।
১৪। আন নাজির: নাজির অর্থ ভয় প্রদর্শনকারী।
কুরআন মাজিদের বিভিন্ন নামে নামকরণ দ্বারা এর চিরস্থায়ী মু'জিযা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা পবিত্র কুরআনের নামসমূহ জানবো ও কুরআন মাজিদ পড়তে শিখবো।
মাক্কি সূরা ও মাদানি সুরা
আমরা আল কুরআনুল কারিমে দুই ধরনের সূরার নাম দেখতে পাই। যথা: মাক্কি ও মাদানি সুরা। অবতরণের সময়কাল বিবেচনায় সুরাসমূহকে এ দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এখন আমরা মাক্কি ও মাদানি সুরার পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য জানবো।
মাক্কি সূরার পরিচয়: রাসুলুল্লাহ (সা.) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পূর্বে যেসকল সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, তাকে মাজি সুরা বলে। মাক্কি সূরার সংখ্যা ৮৬ টি।
মাদানি সূরার পরিচয়: রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের পর যে সকল সূরা অবতীর্ণ হয়েছে, সেসকল সূরাকে মাদানি সুরা বলে। মাদানি সুরার সংখ্যা ২৮টি।
মাক্কি সূরার বৈশিষ্ট্য:
১. মাক্কি সুরাসমূহে তাওহিদ ও রিসালাতের আলোচনা প্রধান্য পেয়েছে।
২. এ সূরাগুলোতে কিয়ামত, জান্নাত ও জাহান্নাম তথা আখিরাতের বর্ণনা প্রাধান্য পেয়েছে।
৩. মাক্কি সুরাসমূহে শিরক ও কুফরের পরিচয় বর্ণনা করে এগুলোর অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে ।
৪. এ সূরাগুলোতে মুশরিক ও কাফিরদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে।
৫. মাঝি সুরাসমূহে পূর্ববর্তী মুশরিক ও কাফিরদের হত্যাযজ্ঞের কাহিনী, ইয়াতিমদের সম্পদ হরণ করা, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়া ইত্যাদি কুপ্রথার বিবরণ রয়েছে।
৬. এর শব্দমালা শক্তিশালী, ভাবগম্ভীর ও অন্তরে প্রকম্পন সৃষ্টিকারী।
৭. এতে শরিয়তের সাধারণ নীতিমালা উল্লেখ রয়েছে।
৮. এতে প্রসিদ্ধ বিষয়সমূহ শপথের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে।
৯. মাক্কি সুরাসমূহ সাধারণত আকারে ছোট এবং আয়াতগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট।
১০. এ সূরাগুলোতে পূর্ববর্তী নবি-রাসুলগণের সফলতা ও তাদের অবাধ্যদের শোচনীয় পরিণতির বর্ণনা করা হয়েছে।
১১. মাক্কি সূরাসমূহে تأيُّها الناس )অর্থ- ‘হে মানবজাতি’কথাটি উল্লেখ আছে।
মাদানি সুরার বৈশিষ্ট্য:
১. মাদানি সূরাসমূহে শরিয়তের বিধি-বিধান, ফরয, ওয়াজিব ইত্যাদির সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে।
২.
এতে আহলে-কিতাবের পথভ্রষ্টতা ও তাদের কিতাব বিকৃত হওয়ার কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
৩ মাদানি সূরাসমূহে নিফাকের পরিচয় ও মুনাফিকদের যড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে।
৪. এ সুরাগুলোতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও সাংস্কৃতিক নীতিমালা বর্ণিত হয়েছে।
৫. এতে পারস্পরিক লেনদেন, উত্তরাধিকার আইন, ব্যবসা বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয়সহ যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের বিধান বর্ণিত হয়েছে।
৬. মাদানি সূরাসমূহের আয়াতসমূহ তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ।
৭. এ সুরাগুলোতে ইবাদতের রীতিনীতি, সালাত, সাওম, হজ, যাকাত ইত্যাদি বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
৮. মাদানি সুরাসমূহে ইহুদি ও খ্রীস্টানদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
৯. মাদানি সূরাসমূহে বিচারব্যবস্থা, দন্ডবিধি, জিহাদ, পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১০. মাদানি সূরাসমূহে يَأيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا 'হে ঈমানদারগণ') কথাটি উল্লেখ আছে।
১১. হালাল ও হারাম সংক্রান্ত বর্ণনা প্রধান্য পেয়েছে।
দলগত কাজ শিক্ষার্থীরা মাজি ও মাদানি সুরার বৈশিষ্ট্যসমূহ পোস্টার পেপারে উপস্থাপন করবে। |
আল কুরআনের বৈশিষ্ট্য ও মাহাত্ম্য
কুরআন মাজিদ বিশ্বমানবতার জন্য হেদায়াতের বাণী নিয়ে অবর্তীর্ণ হয়েছে। তাই এই কুরআনের রয়েছে কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য, যার কারণে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ। আমরা এখন আল কুরআনের সেই বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্যসমূহ জানবো, যার মাধ্যমে এর মাহাত্ম্যও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
পূর্বযুগের বিভিন্ন উম্মত তাদের প্রতি প্রেরিত আসমানি কিতাব এবং তাদের নবির শিক্ষা নিজেদের সুবিধামতো পরিবর্তন করে নানারকম বিকৃতি ঘটিয়েছে। আল কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ, যা যাবতীয় বিকৃতি ও ভুলত্রুটি থেকে মুক্ত। এটিকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থারূপে অবতীর্ণ করা হয়েছে। মানব জাতির বর্তমান ও অনাগত কালের যে সব সমস্যা ও প্রয়োজন দেখা দেবে, তার সবকিছুরই মূলনীতি কুরআনে বলে দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَبَ تِبْيَانًا لِّكُلِّ شَيْءٍ
অর্থ: আর আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ। (সুরা আন-নাহল, আয়াত: ৮৯)
কুরআন নাযিল হওয়ার সময় থেকে অদ্যাবধি অনেকেই একে মানুষের রচনা, কবিতা, যাদু ইত্যাদি বলে অপবাদ দিয়েছে। এতে আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এবং অনাগত কাল পর্যন্ত যাদের মনে এমন ধারণা জন্ম নেবে, তাদের সবাইকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন 'আমি আমার বান্দার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি তাতে তোমাদের কোনো সন্দেহ থাকলে তোমরা এটার অনুরূপ কোনো সুরা নিয়ে আস এবং তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহ্বান কর'। (সুরা আল বাকারা, আয়াত: ৪৩) কুরআনের এটা একটি বড় মু'জিযা, আজ পর্যন্ত কোনো মানুষই কুরআনের অনুরূপ কিছুই রচনা করতে পারেনি। সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে বলতে বাধ্য হয়েছে- ‘না, এটা কোনো মানুষের বাণী নয়।’
আল কুরআন কিয়ামত পর্যন্ত সকল সমস্যার সমাধান সম্বলিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। এরপর আর কোনো গ্রন্থ অবতীর্ণ হবে না এবং প্রয়োজনও হবে না। এর আগে মানবজাতির হেদায়াতের জন্য তাওরাত, যাবুর, ইনজিল এ তিনটি বড় আসমানি কিতাব এবং ১০০ খানা সহিফা বিভিন্ন নবি-রাসুলের উপর নাযিল হয়েছিল। এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে, তার কোনোটিই এখন আর অবিকৃত অবস্থায় বলবৎ নেই। তবে কুরআন মাজিদ সেসকল কিতাব নাযিল হওয়াকে সত্যায়ন করছে এবং উক্ত কিতাবসমূহের মৌলিক প্রয়োজনীয় শিক্ষাকে ধারণ করছে।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল উৎস হলো আল-কুরআন। এ মহাগ্রন্থে ব্যাকরণ, আইন, গণিত, চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, দর্শন, নৃতত্ত্ব, ইতিহাস, সাহিত্য, তর্কশাস্ত্র, অলংকারশাস্ত্র, ফারাইজ (সম্পদ বণ্টনশাস্ত্র), বর্ষপঞ্জীসহ জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রয়োজনীয় জ্ঞানের মূলনীতি বর্ণনা করা হয়েছে। মহাকাশবিজ্ঞান সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'আর তারা (গ্রহ-নক্ষত্র) প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে মহাশূন্যে পরিভ্রমণ করছে।' (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ৪০)।
আল-কুরআনের তিলাওয়াত ব্যক্তির হৃদয় প্রশান্ত ও তৃপ্ত করে। যতবার তিলাওয়াত করা হয় প্রতিবারই এর তিলাওয়াত ব্যক্তিকে নতুন চেতনায় ও কল্যাণচিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ইসলাম গ্রহণের পূর্বে ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) ইসলামের শত্রু ছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর বোন ফাতিমার কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত শুনে এতটাই বিগলিত হন যে, সাথে সাথে মুহাম্মাদ(সা.)-এর কাছে ছুটে যান এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।
আল কুরআন মানবজীবনের সকল সমস্যার সমাধান দিতে সক্ষম। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয়, আন্তর্জাতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল সমস্যার সমাধান পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে দেওয়া আছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
مَا فَرَّطْنَا فِي الْكِتَبِ مِنْ شَيْءٍ
অর্থ: 'আমি এ কিতাবে কোনো কিছুই বাদ দেইনি।' (সুরা আল-আনআম, আয়াত: ৩৮)
কুরআনের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য যত বিস্তৃতভাবে এবং যত গভীরভাবে জানা যায় তত ঈমান বাড়ে, কুরআনের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে এবং আমল করার আগ্রহ তৈরি হয়। প্রিয় শিক্ষার্থীরা। চল, আমরা বেশি বেশি কুরআন অধ্যয়ন করি এবং তার আলোকে জীবন গড়ি। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।
দলগত কাজ শিক্ষার্থীরা পবিত্র কুরআনের বিস্ময়কর বৈশিষ্ট্য ও মাহাত্ম্য নিয়ে দলে আলোচনা করে পোস্টার পেপারে উপস্থাপন করবে |
প্রতিফলন ডায়েরি লিখন (বাড়ির কাজ) 'কুরআন-হাদিসের নির্দেশনা আমি/আমরা কীভাবে অনুশীলন করতে পারি' (উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক তোমরা দলে/প্যানেলে বিভক্ত হয়ে আলোচনা করে উপস্থাপন করো।) |
আরও দেখুন...